csb24.com::
প্রথম দিনে অল আউট ২০১ রানে। কে ভেবেছিল ১৪২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করবে ভারত! কেউ না ভাবলেও তিন স্পিনারের কীর্তিতেই সেটাই করেছে স্বাগতিকরা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস ১৮৪ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১৭ রানের লিড নিয়েছিল বিরাট কোহলির দল। এরপর দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের স্কোর ২ উইকেটে ১২৫।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুটিয়ে দিয়ে ভারত যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে শুরু করে তখন তাদের ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন ভেরনন ফিল্যান্ডার। কারণ, প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও শুন্য রানেই শিখর ধাওয়ানকে শিকার করে ফেলেছেন তিনি। শুরুতেই উইকেট হারাতে কে চায়!
কিন্তু মুরালি বিজয় ও চেতেশ্বর পুজারা কঠিন উইকেটে ঠিকই সামলে নিয়েছেন প্রোটিয়া বোলারদের। সেই বোলারদের নেতৃত্ব দিয়েছে স্পিন। ৪০ ওভার বল করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেল স্টেইনকে ব্যবহার করেনি। ফিল্যান্ডার ৭ ও কাগিসো রাবাদা ৮ ওভার বল করেছেন। বাকিটা স্পিনাররা। রাবাদা বল করতে এসেছেন ৫ নম্বর বোলার হিসেবে। স্পিনে ভরসা করতে চেয়েছে প্রোটিয়ারাও। শেষ সাফল্য অবশ্য স্পিনারেরই। লেগি ইমরান তাহির পেয়েছেন বিজয়ের (৪৭) উইকেটটা। ৮৬ রানের জুটি হয়েছে দ্বিতীয় উইকেটে।
প্রথম ইনিংসে দৃঢ়তা দেখালেও খুব বেশি টিকে থাকা হয়নি পুজারার। তবে এই ইনিংসে লড়াকু ফিফটি তুলে নিয়েছেন। দিনশেষে ৬৩ রানে অপরাজিত তিনি। তৃতীয় দিনে আবার অধিনায়ক কোহলির সাথে ব্যাট করতে নামবেন। কোহলি অপরাজিত ১১ রানে।
এর আগে ভারতের তিন স্পিনার ফর্মুলা যে কাজে এসেছে তা প্রমাণিত। ৫ উইকেট শিকার করছেন অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বাঁ হাতি রবিন্দ্র জাদেজা পেয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট লেগ স্পিনার অমিত মিশ্রার।
আগের দিনের ২ উইকেটে ২৮ রানে দিন শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। হাশিম আমলা ও এলগারের জুটিটা ভালোই চলছিল। ৭৬ রানের জুটি হয়ে যায়। অশ্বিন জুটি ভাঙ্গেন এলগারকে ৩৭ রানে বিদায় করে দিয়ে। আমলাকেও (৪৩) শিকার করতে বেশি সময় নেন নি অশ্বিন। একই ওভারে ডেন ভিলাসকেও (১) বিদায় করেছেন।
এবি ডি ভিলিয়ার্স নিজের মতো করে খেলছিলেন। দারুণ ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান জুটি গড়ার জন্য পার্টনার পাচ্ছিলেন না। আসলে এলগার, আমলা ও ভিলিয়ার্স (৬৩) ছাড়া দুই অঙ্কের রানই করতে পারেন নি আর কেউ। ভিলিয়ার্স একা হাতে দলকে টেনেছেন। কিন্তু ১৪ রানে শেষ চার উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। তিন স্পিনার মিলে ছিন্ন ভিন্ন করেছেন প্রতিপক্ষকে।
পাঠকের মতামত